পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। অবৈধ বিয়ের মামলা থেকে শনিবার দেশটির একটি আদালত তাদের খালাস দেন। ফলে এখন মুক্তির প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন তিনি।
শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রীর সাজার বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করেন। এরপর মামলায় তাদের খালাস দিয়ে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। ফলে ইমরান খানকে আর কারাগারে আটকে রাখার মতো অবশিষ্ট কোনো মামলা থাকল না।
ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে বলেন, ইসরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি খালাস পেয়েছেন।
ইমরান খানের দল পিটিআই জানিয়েছে, খান সাহেবকে কারাগারে আটকে রাখার মতো আর কোনো মামলা বিচারাধীন নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগের স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ইমরান খান ইসলামিক আইনানুসারে বিয়ের জন্য যে সময় (ইদ্দত) নেওয়ার কথা ছিল তা তিনি মানেননি। ফলে গত ফেব্রুয়ারিতে নিম্ন আদালত এ মামলায় তাদের সাত বছর কারাদণ্ড দেন।
ইমরান খান ও তার স্ত্রী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এ রায়ের ফলে তারা এখন কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গেল ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের নির্বাচনের আগে ৪টি মামলায় ইমরান খানকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে এসব মামলার রায় বাতিল অথবা স্থগিত করা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। চলতি মাসে তাকে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও দুটি মামলায় সাজা স্থগিত করা হয়েছে।
ইমরান খানের দল পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান বলেন, ইদ্দত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ইসলামাবাদের আদালত খালাস দিয়েছেন। এতে করে আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। সত্যের জয় হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন তার মুক্তির অপেক্ষায় আছি। ইনশাআল্লাহ পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে আজ মুক্তি দেওয়া হবে।
ইমরান খানের দল পিটিআই জানিয়েছে, তাদের আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে অবিলম্বে মুক্তি তা দিলে তা আরেকটি রাজনৈতিক সংকটের দিকে দেশকে ঠেলে দিতে পারে।