স্পেন-ইংল্যান্ড ফাইনালের ভাগ্য গড়ে দিতে পারে যে ৪ লড়াই

২৪ দলের লড়াইয়ে রইল বাকি দুই। ইউরোতে সব উত্তাপ এখন দুটি দলকে ঘিরে। নানা নাটকীয়তা ও উত্তেজনার পথ পেরিয়ে এখন অপেক্ষা ফাইনালে স্পেনইংল্যান্ডের ধ্রুপদি লড়াই দেখার। স্পেনের সামনে সুযোগ এক যুগ পর ইউরোর শিরোপা পুনরুদ্ধারের। আর ইংল্যান্ডের সামনে প্রথম ইউরো জয়ের হাতছানি।

ফাইনালের আগে এই দুই দলের কৌশল, শক্তি ও সম্ভাবনা নিয়েই এখন যত আলোচনা। যেখানে উঠে আসছে ব্যক্তিগত লড়াইয়ের প্রসঙ্গও। ফাইনালে মঞ্চে দেখা যেতে পারে এমন চার দ্বৈরথ নিয়েই এ আয়োজন।

নিকো উইলিয়ামস বনাম কাইল ওয়াকার

ইউরোর ফাইনালে মুখোমুখি হবেন এ আসরের দুই দ্রুততম তারকা। একদিকে স্পেনের নিকো উইলিয়ামস এবং অন্যদিকে ইংল্যান্ডের কাইল ওয়াকার। নিকো উইলিয়ামস এবারের ইউরোর অন্যতম চমক। টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফরম্যান্সে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন তরুণ এই উইঙ্গার। বিদ্যুৎ–গতিতে উইং ধরে প্রতিপক্ষ ফুলব্যাকদের সহজেই বোকা বানাতে পারেন এই অ্যাথলেটিক বিলবাও তারকা।

তবে ফাইনালে তাঁর জন্য কাজটা মোটেও সহজ হবে না। তাঁকে যে এবার মুখোমুখি হতে হবে কাইল ওয়াকারের। এই সময়ের অন্যতম সেরা রাইটব্যাক ওয়াকার। গতি ও মার্কিংয়ের কারণে প্রতিপক্ষের উইংগারদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের নাম। তবে তরুণ উইলিয়ামসকে সামলানো ওয়াকারের জন্যও সহজ হবে না। সব মিলিয়ে ইউরোর ফাইনালে এ দুজনের লড়াই হয়ে ওঠতে পারে দেখার মতো বিষয়।

জুড বেলিংহাম বনাম রদ্রি

জুড বেলিংহাম এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। আর রদ্রি হোল্ডিং মিডফিল্ডারদের মধ্যে বিশ্বসেরাদের একজন। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে মাঝমাঠের দখল নিতে লড়বেন এ দুজন। ইউরোতে নিজের সেরাটা দেখাতে না পারলেও দলের একাধিক জয়ে ভূমিকা রেখেছেন বেলিংহাম। বিপরীতে স্পেনের দারুণ পারফরম্যান্সে বড় ভূমিকা আছে রদ্রিরও।

তবে ফাইনালের লড়াইয়ে কাউকে আলাদা করে এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। কে জানে, হয়তো ফাইনালের জন্যই নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছেন বেলিংহাম। সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে রদ্রির ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে জয়ের সুখস্মৃতিও আছে বেলিংহামের। ফলে এই ম্যাচটি রদ্রির জন্য প্রতিশোধেরও। যা দ্বৈরথের উত্তেজনাকেও আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

হ্যারি কেইন বনাম আইমেরিক লাপোর্তে

একসময় প্রিমিয়ার লিগে ও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলে নিয়মিতই দেখা হতো তাঁদের। মুখোমুখি সেই লড়াইয়ে অবশ্য বেশির ভাগ সময়েই আইমেরিক লাপোর্তের কাছে হার মানতে হয়েছে হ্যারি কেইনকে। মুখোমুখি সাত দেখায় মাত্র দুই গোল এবং একটি সহায়তা করতে পেরেছেন কেইন। তবে দুজন এখন ভিন্ন দুই লিগের খেলোয়াড়। কেইন খেলেন জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে, লাপোর্তের ক্লাব সৌদি আরবের আল নাসর। তবে ইউরোর ফাইনাল পুরোনো দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে আবারও একসঙ্গে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। এ দুজনের লড়াইয়ে যিনি জিতবেন, তাঁর দলের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যাবে।

লামিনে ইয়ামাল বনাম লুক শ

এবারের ইউরোকে ভবিষ্যতে হয়তো লামিনে ইয়ামালের টুর্নামেন্ট নামে ডাকা হবে। এবারের আসরে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলছেন আজ ১৭তম জন্মদিন পালন করা এই উইঙ্গার। তবে পুরো ইউরোর পারফরম্যান্স ফাইনালে এক নিমিষে শূন্য হয়ে যেতে পারে যদি শেষ লড়াইটা জিততে না পারেন। ফাইনালে ইয়ামালকে থামানোর গুরুদায়িত্ব থাকবে লুক শর ওপর। বিশ্বের যেকোনো ফরোয়ার্ডকে আটকানোর সামর্থ্য আছে লু শর। চোট থেকে ওঠার পর থেকে বেশ ছন্দেও আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই লেফটব্যাক। বার্লিনে এ দুজনের লড়াইয়েও নির্ধারিত হতে পারে ইউরোর শিরোপা।

Related posts

Leave a Comment