সকালের ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। আজ শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএনসিসি। এছাড়াও ডিএনসিসির ১০ অঞ্চলে কাজ করছে ১০ সদস্যের ১০টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরই মধ্যে উত্তর সিটির প্রধান প্রধান সড়ক থেকে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনে কল্যাণপুরে ডিএনসিসির পাঁচটি পাম্প সকাল থেকে একযোগে কাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার। এটি এ মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকার সড়ক। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসী ও শ্রমজীবী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
এদিন ভোর থেকে শুরু হওয়া মুষলধারার বৃষ্টিতে রাজধানীর গ্রিন রোড, মিরপুর, ধানমন্ডি, বনানী, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ-মগবাজার, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বাংলামোটর, বনশ্রী, বাড্ডা, আজিমপুর এলাকার সড়কে কোমর পানি জমে গেছে।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঢাকার কল্যাণপুরের প্রধান সড়ক। দেখা যায়, কল্যাণপুর নতুন বাজার মোড় থেকে কল্যাণপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক পুরো পানির নিচে ডুবে আছে। রিকশার পাদানিতে পানি উঠে যাচ্ছে। পথচলতি মানুষের হাঁটু ডুবে যাচ্ছে।
ধানমন্ডি ২৭, গ্রিন রোড, মিরপুর ও মগবাজার এলাকার প্রধান সড়কসহ প্রায় সব অলিগলিতে হাঁটু সমান, কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি জমেছে। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। অন্যদিকে প্রাইভেটকার ও সিএনজির ইঞ্জিনে পানি ঢুকে রাস্তার মধ্যে আটকে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে গাড়ির ধীর গতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের।
অনেকটা পানির সঙ্গে যুদ্ধ করেই সকাল পার করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। আর এই সুযোগে কোথাও কোথাও রিকশা ও ভ্যান চালু হয়েছে সড়ক পারাপার করতে। মানুষও বাধ্য হয়ে এসব বাহনে বেশি ভাড়া দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
টানা বৃষ্টিতে অনেক দোকান ও মার্কেটে পানি ঢুকে গেছে। নিউমার্কেটের নিচতলার কিছু দোকানে পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
টানা বৃষ্টিতে অনেক দোকান ও মার্কেটে পানি ঢুকে গেছে। নিউমার্কেটের নিচতলার কিছু দোকানে পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে।