তিন বছরের ব্যবধানে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন চেকিয়ার ক্রেচিকোভা। ২০২১ সালে ফরাসি ওপেন জিতেছিলেন ২৮ বছরের খেলোয়াড়। এ বার জিতলেন উইম্বলডন।
মহিলাদের সিঙ্গলস ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখল অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের সেন্টার কোর্ট। সেই লড়াই থেকে নতুন রানিও পেল উইম্বলডন। চেকিয়ার বার্বোরা ক্রেচিকোভা বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হলেন ৬-২, ২-৬, ৬-৪ ব্যবধানে।
ইটালির জ্যাসমিন পাওলিনি এবং ক্রেচিকোভা মুখোমুখি হয়েছিলেন খেতাবের লড়াইয়ে। ১৭ দিনের ছোট পাওলিনিকে হারিয়ে দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন ক্রেচিকোভা। ২০২১ সালে ফরাসি ওপেন জয়ের তিন বছর পর উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। টেনিসজীবনের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন তিনি। ১৯৯৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জন্ম ক্রেচিকোভার। তার ১৭ দিন পর ১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম ইটালির পাওলিনির। সমবয়সী দুই খেলোয়াড়ের লড়াইয়ে নতুন গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন পেলেন না টেনিসপ্রেমীরা।
প্রথম সেটে ১৭ দিনের ছোট প্রতিপক্ষকে এক রকম দাঁড়াতেই দেননি ক্রেচিকোভা। ইটালির খেলোয়াড়ের দু’টি সার্ভিস ভাঙেন তিনি। ৬-২ ব্যবধানে জিতে নন প্রথম সেট। পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েননি পাওলিনি। দ্বিতীয় সেটে চেনা ফর্মে দেখা যায় তাঁকে। তিনিও পাল্টা ৬-২ ব্যবধানে জেতেন প্রতিপক্ষের সার্ভিস দু’বার ভেঙে। সব অর্থেই সমতা ফেরান ইটালীয়।
১-১ সেট হওয়ার পর তৃতীয় সেট হয়ে দাঁড়ায় নির্ণায়ক। সপ্তম গেমে পাওলিনির সারভিস ভেঙে ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যান ক্রেচিকোভা। নিজের পরের সার্ভিস গেম ধরে রেখে ৫-৩ করে ফেলেন। পাওলিনি পরে ৫-৪ করলেও লাভ হয়নি। শেষ গেমে নিজের সার্ভিস ধরে রেখে সেট, ম্যাচ এবং গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নেন চেকিয়ার খেলোয়াড়। তবে সেই জয় এল চাপের মুখে। শেষ গেমে সার্ভিস পেয়েও স্নায়ুর চাপে ভুগেছেন ক্রেচিকোভা। দু’বার চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট হাত ছাড়া করেন তিনি। আনফোর্ডস এরর করেন একাধিক। তবু শেষ পর্যন্ত পারলেন না পাওলিনি। পর দু’টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠেও জিততে পারলেন না ইটালীয়।